বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশে চলছে অরাজক অবস্থা। দেশে কোনো সরকারি কর্মকর্তা নেই। সবাই এক ব্যক্তির কর্মচারী। তবে দিন তাদের বেশি নেই।
তাদের আসল চরিত্র কখনো কখনো মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে।
আজ রবিবার বিকেলে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারের বক্তব্য বখাটে ও পাড়া মহল্লার মাস্তানদের মতো। আসলে রাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের কথাবার্তা শুনলেই বোঝা যায় দেশের কী ভয়ংকর অবস্থা! ডিএমপি কমিশনার বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে গুম খুনের শিকার পরিবারের সদস্যদের বাৎসরিক শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।
সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। জেডআরএফ’র রিহ্যাবিলিটেশন কমিটির সদস্য সচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রিহ্যাবিলিটেশন কমিটির আহ্বায়ক ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ প্রমুখ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেডআরএফ’র কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটেয়ারী, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, একেএম জহিরুল ইসলাম, শামীমা রহিম, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, শফিকুল ইসলাম, আসিফ হোসেন রচি প্রমুখ।
ঝিনাইদহের মনিরুজ্জামান মিন্টু, ইন্তা মন্ডল ও সিরাজুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের হাতে বৃত্তির টাকা ও পোশাক তুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় গুম খুনের পরিবারের সদস্যদেরকে সহায়তা প্রদান করবে জেডআরএফ।