সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে যে উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া যায় তার প্রমাণ রেখে চলেছেন প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। তিনি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা কেন্দ্রÑ সুরের ধারা। প্রায় ৭০০ জন শিক্ষার্থী ভাবাদার্শ গ্রহণ করে নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সমাজে অবদান রেখে চলেছেন। তার সংগঠন সুরের ধারার ব্যতিক্রমী আরেকটি আয়োজন উন্নয়নের জন্য সঙ্গীত প্রকল্প। তিনি এর নাম দিয়েছেন উন্নয়নয়ের জন্য সঙ্গীত (Music for Development-MED) ।
ব্যতিক্রমধর্মী এই কার্যক্রমের ছাত্রছাত্রী মূলত সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের সদস্য। সমাজের অবহেলিত একটি অংশ যারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আহার, বাসস্থান, শিল্প-সাহিত্য থেকে বঞ্চিত সেইসব ছেলেমেয়েদেরকে আত্মপ্রত্যয়ী করে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে ‘মিউজিক ফর ডেভেলপমেন্ট’। লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি উচ্চ বিদ্যালয় সপ্তাহের তিনদিন এই কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এখানে যেসব ছাত্রছাত্রী শিক্ষা গ্রহণের জন্য আসেন তারা বিদ্যালয়ের পাঠগ্রহণের পাশপাশি প্রাইভেট পড়ার সুবিধা পান। তাদের জন্য আলাদা ক্লাস নেয়া হয়। ফলে বাড়তি কোনো টিউশনি বা প্রাইভেট পড়তে হয় না। এদেরকে সপ্তাহে তিনদিন দুইবেলা আহারের ব্যবস্থা করা হয়। যাতায়াত ব্যবস্থা, স্কুলের ইউনিফরমের ব্যবস্থাও করা হয়।
শিল্প-সাহিত্য, আবৃত্তি, ছবি আঁকা, খেলাধুলা, সঙ্গীত, নৃত্য, কম্পিউটার প্রযুক্তির ধারণাÑ যে বিষয়ে তারা আগ্রহী তাদেরকে সেই বিষয়েই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
২০০৯ সালে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমের বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫০ জন। শিশুদেরকে তাদের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং তাকে শিল্প-সংস্কৃতি মনষ্ক করে গড়ে তোলাই প্রধান উদ্দেশ্য। এ প্রসঙ্গে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জানানÑ সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা যেন আনন্দ-বিনোদনের মাধ্যমে বড় হয়, তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং তারা প্রতিষ্ঠিত সুনাগরিক হয়ে দেশের উন্নয়নে সম্পৃক্ত হতে পারে সেই দায়িত্ববোধ থেকেই সুরের ধারার পাশাপাশি ‘মিউজিক ফর ডেভেলপমেন্ট’ কাজ করে যাচ্ছে। তিনি দেশের বিত্তশালীদেরকে এগিয়ে আসমার জন্য আহŸান জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আরো পড়ুন : মসজিদের ভিতপাথর সরিয়ে ফেলায় এমপি মুরাদের লোকজন পেটালেন প্রকৌশলীকে