গাইবান্ধা প্রতিনিধি: শিক্ষক শিক্ষার্থী না থাকলেও প্রতি শিক্ষা বছর সরকারি বই উত্তোলনের অভিযোগ গোবিন্দগঞ্জে কাটাখালী বালুয়া হাট সংলগ্ন সোনারবাংলা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের উঠেছে পরিচালক ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ব্যপারে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে উপজেলার তালুক কানুপুর ইউনিয়নের কাটাখালী বালুয়া হাটের তাজপুর রোড়ে ঈদগাহ মাঠের সন্নিকটে ২০২০ সালে সোনার বাংলা কিন্ডারগার্টেন স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন মোস্তাফিজার রহমান। পরবর্তীতে তিনি নিজেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন। এরপর থেকেই তিনি ২০২০, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন শ্রেণির বই উত্তোলন করেন। কিন্ত শিক্ষার্থী না থাকায় বই গুলি আত্নসাৎ করেছেন নিজেই। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সরকারি সম্পদ আত্নসাৎকারী মোস্তাফিজার রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।
এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারী) ওই স্কুলে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি কক্ষ থাকলেই সেগুলি তালা মারা। খোলা একটি শ্রেণি কক্ষে ৫/৬ শিক্ষার্থী নিয়ে কথা বলছেন মোস্তাফিজার রহমান। সাংবাদিকদের দেখে তড়িঘড়ি করে নিজেই জাতীয় পতাকা টাঙ্গালেন। অফিসে তালা লাগানো। অন্য কক্ষগুলি অপরিছন্ন শ্রেণিকক্ষের ভিতর কয়েকটি বেঞ্চ পালা করে রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কোন হাজিরা খাতা নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যালয়ের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমান জানান তার বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন এবং প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৪৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে সরকারি বই আত্নসাৎ আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। শিক্ষা অফিস থেকে প্রাপ্ত বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করেছি।
শিক্ষকদের একজন শ্রী মনমহন সরকার। তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান বছর খানেক আগে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। এখন একটি এনজিওতে কর্মরত আছি।
ফারুক হোসেন, গাইবান্ধা।
আরো পড়ুন : গোবিন্দগঞ্জ শান্তনু কুমার দেব স্মৃতি স্বাধীনতা কাপ ভলিবল টুর্নামেন্ট