তিনি তো আমাদেরকে বলে যেতে পারতেন

ওকে নিউজ স্পেশাল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি লাইফ স্টাইল হ্যালোআড্ডা

নিজস্ব প্রতিনিধি : ফুলবাড়ীয়ার ফিনিক্স রোড। পুলিশ হেডকোয়ার্টার। শীর্ষ কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন, ঘামছেন। বিশেষ টেলিফোনের পাশেই বসে আছেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। ৫ই আগস্ট দুপুরের দিকের কথা। সকাল থেকে দুপুর। বিশেষ টেলিফোন কয়েকবার বেজেছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফোন নয়। বেলা যখন আড়াইটা তখন টেলিভিশনের পর্দায় নতুন খবর ভেসে উঠলো। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।

তার হেলিকপ্টার বঙ্গভবন হয়ে আগরতলার পথে। অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রইলেন আইজিপি, অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ ও প্রভাবশালী পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।

তখন অফিসাররা বলাবলি করছিলেন, তিনি তো আমাদেরকে বলে যেতে পারতেন। অথচ আমরা তার শেষ নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
রাস্তায় তখন লাখ লাখ মানুষ। ভয়ে কাঁপছেন এই অফিসাররা। কোনদিকে যাবেন, কীভাবে যাবেন? কারণ চারদিকে মানুষ আর মানুষ। ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মিছিল রূপ নিয়েছে বিজয় মিছিলে। মানুষের বাঁধভাঙা স্রোতে নগরের কোথাও নিজেদেরকে নিরাপদ ভাবছে না পুলিশ। ইতিমধ্যে অনেক ঘটনাই ঘটে গেছে। তাই আইজিপি সিদ্ধান্ত নিলেন হেলিকপ্টার এনে সদর দপ্তর ত্যাগ করবেন। হেলিকপ্টার এলো। উল্লিখিত অফিসারদের মধ্যে দু’জন ছাড়া বাকিরা হেলিকপ্টারে চড়ে তেজগাঁও বিমানবন্দরে চলে গেলেন। এর মধ্যে অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল ইসলাম রিকশায় করে বাড়ি গেলেন। আলোচিত গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ দেয়াল টপকে আগেই হেডকোয়ার্টার ত্যাগ করেন।

আরো পড়ুন : লাল পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *