গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতা : রহনপুর ট্রানজিট পয়েন্ট পরিদর্শন করলেন নেপাল দুতাবাসের ঢাকা মিশনের উপ-প্রধান মিসেস ললিতা শীলওয়াল। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটায় স্হলযোগে তিনি রহনপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌছান। সেখান থেকে তিনি রেলের ইঞ্জিনচালিত মোটর ট্রলিতে করে বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ের শিবরামপুর পয়েন্টে যান। ওইখানে বাংলাদেশের জিরো পয়েন্ট ঘুরে দেখেন। সেখানে নওগাঁর ১৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বাঙ্গাবাড়ি বিওপি’র সদস্যরা অতিথিদের বরণ করেন।
এ সময় নেপাল দুতাবাসের ঢাকা মিশনের দ্বিতীয় সচিব মিস ইয়োজানা বামজান, বাংলাদেশ রেলওয়ের ইন্টারচেঞ্জ শাখার উপপরিচালক মো: মিহরাবুর রশিদ খান ও রহনপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাষ্টার মো: মামুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় নেপাল দুতাবাসের ঢাকা মিশনের উপপ্রধান ললিতা শীলওয়াল সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের এ ট্রানজিট পয়েন্টটি তাদের একটি নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ। তিনি এ রুটটি তাদের দেশের জন্য একটি সহজ ও সাশ্রয়ী ট্রানজিট রুট এবং এ রুট ব্যবহার করে তারা লাভবান হচ্ছে। এ জন্য তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ইন্টারচেঞ্জ শাখার উপপরিচালক মো: মিহরাবুর রশিদ খান জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতায় আন্ত:দেশীয় যোগাযোগের জন্য ৫ টি ট্রানজিট ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর ও দিনাজপুরের বিরল। তাই গুরুত্ব বিবেচনায় কিভাবে এ পয়েন্ট দিয়ে বানিজ্য বাড়ানো যায় এজন্যই আজকের এ পরিদর্শণ।
প্রসঙ্গত: ১৯৭৮ সালে ৪২ কিলোমিটার ভারতীয় অংশের ট্রানজিট নিয়ে পণ্য পরিবরহন করে থাকে নেপাল। বাংলাদেশের মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দ্র হয়ে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ট্রানজিট ব্যবহার করে রাসায়নিক সার আমদানী করে থাকে নেপাল ।
আতিকুল ইসলাম আজম
আরো পড়ুন : নিজের মেয়ের জন্য সব করবেন, স্ত্রীর জন্য কিছুই না। এটা ইসলাম বলেনা।