দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বার্তায় জানানো হয়, বর্তমানে দেশের ১২টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীগুলো হলো- তিস্তা নদী ডালিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার, দুধকুমার নদী পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার, ধরলা নদী কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদী চিলমারী পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার, সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে ১০৮ সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ১২০ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে ৭০ সেন্টিমিটার, সোমেশ্বরী নদী কমলাকান্দা পয়েন্টে ৫৬ সেন্টিমিটার, সারিগোয়াইন নদী সারিঘাট পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার, পুরাতন সুরমা নদী দেরাই পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার, যাদুকাটা নদী লরেরগড় পয়েন্টে ১৫৪ সেন্টিমিটার এবং ভুগাই নদী নাকুয়াগাও পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তার পানি বিপদসীমার উপড়ে, লালমনিরহাটে পানিবন্দি হাজারো মানুষতিস্তার পানি বিপদসীমার উপড়ে, লালমনিরহাটে পানিবন্দি হাজারো মানুষ
পাউবো জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মহেশখোলায় ৪০৭ মিলিমিটার, ছাতকে ৩৬৫ মিলিমিটার, সুনামগঞ্জে ৩৭৫ মিলিমিটার, লরেরগড়ে ৩২০ মিলিমিটার, জাফলংয়ে ২৬৮ মিলিমিটার, কাউনিয়ায় ২২৫ মিলিমিটার এবং দূর্গাপুরে ২১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ ছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৯৭২ মিলিমিটার, শিলংয়ে ১০১ মিলিমিটার, পাসিঘাটে ১৬০ মিলিমিটার এবং জলপাইগুড়িতে ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
পাউবো পূর্বাভাসে জানায়, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উজানে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ফলে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে মেঘনা এবং উত্তরাঞ্চল অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে।
আরো পড়ুন : বন্যার কারণে বন্ধ হতে যাচ্ছে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশ ও বিদেশের বিমান যোগাযোগ