নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘আন্দোলন করে কিছু করা যাবে কি যাবে না সেটা পরের কথা। তবে সরকারপ্রধান যে আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়েছেন তা উনার পিতলগঞ্জের বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। আন্দোলনের ডাক উনি আমলে নিতে বাধ্য হয়েছেন। নিঃসন্দেহে বলা যায়, এটি আন্দোলনকারীদের সফলতা। আমি উভয় পক্ষকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসার বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি।’ গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেজর (অব.) আখতার এ কথা লিখেছেন। মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রীর রূপনগরের পিতলগঞ্জে পাতালরেলের অনুষ্ঠানে বক্তব্যে জাতিকে পাতালে যাওয়া থেকে রক্ষার প্রচেষ্টায় আন্দোলনের ডাক যে উনার কান পর্যন্ত পৌঁছে হৃদয়ে নাড়াতে দিতে পেরেছে, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি আরও বলেন, ‘কোনো আন্দোলনই ব্যর্থ হয় না। বিরোধী দলের মূল দাবি হলো একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে একটি দলনিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা। যারা স্বল্পতম সময়ে দেশে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। এখন সেই দাবি আমলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে দিলেন “আন্দোলন করে কিছু করা যাবে না”। এখন স্বাভাবিকভাবেই জাতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখতে পারে, তাহলে কীভাবে জনগণের সেই দাবি পূরণ হবে?’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একই সভায় আরও বলেছেন “আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে”। খুবই সুন্দর ও বলিষ্ঠ বক্তব্য। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কোনো সরকারের কাজ জনগণের কল্যাণে যে হচ্ছে, তা জনগণ নির্ধারণ করবে কীভাবে- যদি জনগণের ভোটাধিকার না থাকে? দেশের তাবৎ বিরোধী দল মনে করে বর্তমান সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করছে না। ফলে এ সরকারের পক্ষে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন নাই। তাই সব বিরোধী দল একযোগে দাবি করছে- এ সরকার যেন পদত্যাগ করে একটি দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক বা অস্থায়ী ও স্বল্পমেয়াদি সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থার জন্য ক্ষমতা হস্তান্তর করে। প্রধানমন্ত্রী এ দাবি নাকচ করে দিয়েছেন এবং আন্দোলন করে এ দাবি আদায়ের কোনো সুযোগ নাই বলেও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। এখন বিরোধী দলের সামনে দুটি পথ খোলা। হয় আন্দোলন আরও তীব্রতর করে দাবি মানতে প্রধানমন্ত্রীকে বাধ্য করা। অথবা সরকারপ্রধানকে আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান করে কীভাবে বিরোধী দলের কাছে বিশ্বাস ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা যায় তার সমাধানের পথ খুলে দেওয়া। আমি উভয় পক্ষকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসার বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি। তবে আমার সুস্পষ্ট মত সবাইকে আলোচনায় বসার জন্য, যার সুযোগ মনে হয় সৃষ্টি হয়েছে।’
আরো পড়ুন : জনপ্রতিনিধি থেকে ছাত্রনেতাদের চাঁদাবাজিতে দিশাহারা শিপিং এজেন্টরা