বাংলাদেশে ১৫ লাখ ক্যানসারের রোগী রয়েছে। প্রতি বছর আরো ২ লাখ রোগী যোগ হচ্ছে। তাদের অর্ধেকই চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন। এতে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ই বেশিসংখ্যক ক্যানসার রোগীর চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে। ক্যানসার চিকিৎসায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় বলে জানান বক্তারা।
গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগে ক্যানসারের চিকিৎসায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ব্যাকি থেরাপি ‘থ্রি-ডাইমেনশনাল কনফরমাল থেরাপি (থ্রিডিসিআরটি)’ মেশিনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএসএমএমইউতে রোগীর কোথায় ক্যানসার অবস্থিত তা নির্ণয় করে টার্গেট থেরাপি দেওয়া হবে এই ব্যাকিথেরাপি (থ্রিডিসিআরটি) মেশিন দিয়ে। এখানে লিনিয়্যাক মেশিনের মাধ্যমেও ক্যানসার চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি এখানে রেডিও থেরাপি ও কেমো থেরাপির মাধ্যমেও চিকিৎসা চলছে। তিনি বলেন, ইদানীং বাংলাদেশে তরুণীদের স্তন ক্যানসার বেশি ধরা পড়ছে। ৩০-৫০ বছরের নারীরা বেশি জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের স্ক্রিনিং করার জন্য একটি সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। ব্ল্যাড ক্যানসার রোগীদের সেবার জন্য বিএসএমএমইউ হেমাটোলজি বিভাগও কাজ করছে। এছাড়া ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজর রয়েছে। তিনি আটটি বিভাগে আটটি ক্যানসার হাসপাতাল করছেন।
বিশ্ব ক্যানসার দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে ‘ক্লোজ দ্য কেয়ার গ্যাপ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিএসএমএমইউ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লক থেকে শুরু হয়ে বট তলা, এ-ব্লক, টিএসসি, ডি-ব্লক, সি-ব্লক প্রদক্ষিণ করে জামে মসজিদ হয়ে ক্যানসার ভবনে গিয়ে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন : ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়া ও তুরস্ককে সহায়তার প্রস্তাব পুতিনের: রয়টার্স