ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়া ও তুরস্ককে সহায়তার প্রস্তাব পুতিনের: রয়টার্স

আন্তর্জাতিক প্রচ্ছদ মনোকথা হ্যালোআড্ডা

মারাত্মক শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়া ও তুরস্ককে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান উভয়ের সঙ্গে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্রতা রয়েছে। সোমবার রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে তুরস্ক, সিরিয়া, লেবানন, ইসরায়েল, ফিলিস্তিন এবং সাইপ্রাস। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানতেপের কাছে। প্রবল শীতের মধ্যে স্থানীয় সময় ভোররাতে যখন ভূমিকম্প শুরু হয় তখন ঐ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ ঘুমিয়ে ছিল। ফলে ভবন ধসে হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে। ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ায়। দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে ২ হাজার ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে।

ভূমিকম্পের পর এরদোয়ানকে পাঠানো এক বার্তায় পুতিন অসংখ্য প্রাণহানি এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির এ ঘটনায় গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে বলেন, এ ঘটনায় আপনার যে ধরনের সহায়তা প্রয়োজন আমরা সেটা করতে প্রস্তুত আছি। প্রেসিডেন্ট আসাদকেও একধরনের বার্তা পাঠান পুতিন।

তিনি বলেন, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে প্রিয়জনকে হারিয়ে যারা গভীর দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে আছেন, রাশিয়া তাদের সেই কষ্ট ভাগ করে নিচ্ছে এবং একই সঙ্গে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে। রাশিয়া আরো জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীদের নিয়ে তাদের দুটি ইলিউশিন-৭৬ উড়োজাহাজ তুরস্কে উড়ে যেতে এবং উদ্ধারকাজে হাত লাগাতে প্রস্তুত আছে। ১০০ উদ্ধারকর্মীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানায় দেশটির জরুরি মন্ত্রণালয়। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের সময় আসাদের পক্ষ নিয়েছিল রাশিয়া। এমনকি আসাদের পক্ষে সেখানে যুদ্ধেও করেছে রুশ বাহিনী। দেশটিতে রাশিয়ার উল্লেখযোগ্য সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। সিরিয়ার লাতাকিয়া প্রদেশে খমেইমিম বিমান ঘাঁটি ও তারতুস বন্দরে রাশিয়ার শক্তিশালী নৌ-ঘাঁটি আছে। তবে ভূমিকম্পে সেগুলোর কোনোটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলেও জানিয়েছে রাশিয়া।

আরো পড়ুন : চূড়ান্ত হিসাবে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *