নরসিংদীর শিবপুরে তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা

Uncategorized

নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর শিবপুরে মো. নাঈম (২২) নামের এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন মো. টুটুল (১৮) নামে তার এক সহযোগী। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিবপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাঈম ধানুয়া এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে।

সে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ শিবপুর পৌর শাখার একাংশের সভাপতি। পরিবার নিয়ে শিবপুর ডাকবাংলোর পেছনে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

স্থানীয়রা জানান, বিকেলে শিবপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করতে যান নাঈম। সেখানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আলী হোসেন, কাশেমসহ কয়েকজনের সঙ্গে নাঈম তর্কে জড়ান। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ইফতার শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নাঈম ও তার সহযোগী টুটুল বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বের হওয়ার পরই আলী হোসেন ও কাশেমের নেতৃত্বে ১৪/১৫ জন তাদের ঘিরে ফেলে চাপাতি দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। তখন তাদের ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. নাঈমকে মৃত ঘোষণা করে ও আহত টুটুলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকটি গ্রুপ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে এই হত্যাকাণ্ড।

জেলা হাসপাতালে নিহতের মামা মোকাররম হোসেন বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে ইফতারিতে অংশ নিতেই বিকেলে বাসা থেকে বের হয়। সন্ধ্যার পর খবর আসে কারা যেন তাকে কুপিয়ে আহত করেছে। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে বড়।

জেলা হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আল আমিন শাওন বলেন, নিহত মো. নাঈম অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গেছেন। তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার মাথায়, পিঠে, পায়ে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান রাত সোয়া ১১টায় মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, মূলত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আজকের এই মারামারি। ইতিপূর্বেও তাদের মধ্যে একাধিকবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মামলাও হয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্যে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আমাদের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। আশা করছি খুব দ্রুতই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।

আরো পড়ুন: জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘পতিতা’ থেকে ‘গৃহিণী’ হলেন তাঁরা

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *