মুক্তিযুদ্ধের সকল তথ্য ও ঘটনা সঠিকভাবে জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে

প্রচ্ছদ মুক্তমত মুক্তিযুদ্ধ

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সকল তথ্য ও ঘটনা সঠিকভাবে জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। এ জন্য গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীরা বিশেষ অবদান রাখতে পারেন।

তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের পর থেকে দেশি- বিদেশি গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিরাট ভূমিকা রেখেছিল, যা মুক্তিকামী বাঙালি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেশের স্বাধীনতা অর্জনে বিশেষ অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল।’
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ডের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ)-এর সহযোগিতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ শফিকুর রহমান এমপি’র সভাপতিত্বে ও বিজেআরএফ– এর সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ড সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন আহমেদ পেয়ারা, বাংলাদেশের খবরের সম্পাদক ও বিজেআরএফ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল কৃষ্ণ রায় ও তরুণ তপন চক্রবর্তী।

মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে অনুষ্ঠানে ৩৩ জন বিশিষ্ট সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধু বিশেষ করে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অবদানের কথা স্মরণ করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়ে, খাবার দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারত সহায়তা না করলে এত অল্প সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারত না। স্বাধীনতার কয়েক মাস পরই ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বন্ধুত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পূর্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ হয়েছিল, ৭১-এর ১৯ মার্চ গাজীপুরের জয়দেবপুর ও চৌরাস্তায়। স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পূর্বে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় এই সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। ইতিহাসের স্বার্থে ১৯ মার্চের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রয়োজন।

আরো পড়ুন : ২০১৯ সালের মতো আবারো ড্রোন ভেবে ৩ ঘণ্টা পাখি তাড়া করলো দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমান

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *