রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থনীতিতে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা মোকাবেলায় ১ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহে নেমেছে বাংলাদেশ সরকার। এই অর্থ সংগ্রহের কথা বুধবার (৮ জুন) সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে আগামী অর্থবছরে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের আগের দিন সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে সঙ্কট মোকাবেলায় অর্থ সংগ্রহের এই পরিকল্পনা দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
মহামারী আর যুদ্ধের এই সঙ্কটকালে নতুন অর্থবছরের বাজেট পৌনে ৭ লক্ষ কোটি টাকার হচ্ছে বলে ধারণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, যেখানে আড়াই লক্ষ কোটি টাকা ঘাটতি থাকতে পারে।
জামালপুর-৫ আসনের সদস্য মোজাফ্ফর হোসেনের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটসহ ভবিষ্যৎ জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১ হাজার মিলিয়ন (১ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার ‘বাজেট সাপোর্ট’ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’
সংসদ সদস্য শহীদুজ্জমান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত সারা দেশের ৩৫ লাখ ৫২ হাজার ৩৪০ জন গৃহহীন পুনর্বাসিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। সারা দেশে গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। কোথাও উপযুক্ত খাস জমি পাওয়া না গেলে জমি কিনে হলেও ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ‘মাথা গোঁজার ঠাই নাই’ এ কথাটি চিরতরে বিলুপ্ত করার জন্য আমরা বদ্ধ পরিকর। পুনর্বাসিত পরিবার ও তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে মানবসম্পদে রূপান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সামগ্রিকভাবে আরো সমৃদ্ধ করা হচ্ছে।’
ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল তিন কোটি ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে উৎপাদন বেড়ে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ধান ও সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, আম ও আলু উৎপাদনে ৭ম, চা উৎপাদনে ৪র্থ স্থানের পাশাপাশি ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে।’
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশের ৪৩টি জেলায় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। রেলওয়ের যেসব প্রকল্প চলমান আছে তা বাস্তবায়িত হলে আরও ১৯টি জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। আর ৩০ বছর ব্যাপী মাস্টার প্লান শেষ হয়ে বাকি চারটি জেলাও রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।’
আরো পড়ুন : হজফ্লাইট ধরতে ব্যর্থ যাত্রীদের পরবর্তীতে সাধারণ ফ্লাইটে হজে যাওয়ার নির্দেশনা